তুমুল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে বিশেষ শিবির চালু করল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষ যাতে আগামী দিনগুলিতে সঠিকমূল্যে শাকসবজি পান, তার জন্য কৃষি বিপণন দপ্তর অতিরিক্ত ২৯টি চলমান সুফল বাংলা স্টল চালু করেছে। সুফল বাংলার কেন্দ্র থেকে ১৫০ কুইন্টাল আলু-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে দুর্গত এলাকার ত্রাণশিবিরগুলিতে।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরবঙ্গের চার জেলার ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে ধান ও ভুট্টা চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফসলের একটি ব্যাপক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের নাম যাতে দ্রুত বিমায় নথিভুক্ত হয়, তার ব্যবস্থাও করছেন। নবান্নের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ হাজার ৪৫২ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার চাষের জমি। প্রায় ১৩ হাজার ৯৫৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে সেখানে। আলিপুরদুয়ারে ৩,৪৯৫ হেক্টর, দার্জিলিংয়ে ৫৮২ হেক্টর ও কোচবিহারে ৪২২ হেক্টর কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। উত্তরবঙ্গের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি তিনি খুঁটিয়ে দেখেছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কিত একটি বিস্তারিত তিনি দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।