যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: সোমবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বিহারের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হল। ৬ আর ১১ নভেম্বর দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে বিহারে। ফলঘোষণা ১৪ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানালেন, সামগ্রিক ভাবে ভোটপ্রক্রিয়ায় ১৭টি নতুন পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা বিহার থেকে শুরু হবে। আসন্ন নির্বাচনের জন্য বিহারে মোট ৮.৫ লক্ষ আধিকারিককে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিহার নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী ১১ নভেম্বর সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থান) আটটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। সেগুলিরও ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।
বিহারের বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৪৩। প্রথম দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০ অক্টোবর সেই সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। তা যাচাইয়ের জন্য ১৮ তারিখ পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১২২টি বিধানসভা কেন্দ্রে। গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) করেছে কমিশন। প্রায় সাড়ে ৬৮ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে নাম যোগ করা হয়েছে ২১ লক্ষের।
বিহারে ভোট দেওয়ার যোগ্য ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন। গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য ৯০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৪টি কেন্দ্র পরিচালনা করবেন মহিলারা। সমস্ত ভোটকেন্দ্রে ‘ওয়েব-কাস্টিং’ করা হবে। ২৫০টি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ টহল চলবে। টহলের জন্য ঘোড়া থাকবে। সমস্ত কেন্দ্রে ডেস্ক, র্যাম্প এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটারদের জন্য বাড়িতে ভোট দেওয়ার সুবিধা থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। জ্ঞানেশ বলেন, “আসন্ন বিহার নির্বাচনে ১৪ হাজার ভোটারের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন সে জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করা হবে।“ ভোটারদের মোবাইল ফোন জমা রাখার জন্য ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। লাইন যাতে দীর্ঘ না হয় সে দিকে নজর রাখা এবং ভিড়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বুথে সর্বাধিক ১ হাজার ২০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। যে কোনও প্রয়োজনে ভোটার হেল্পলাইন নম্বর ১৯৫০-এ ফোন করা যাবে। সমাজমাধ্যমে কেউ ভুয়ো খবর ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কমিশন।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে