যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: উৎসবের দিনগুলিতেও দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। ফলে ফের একাধিক নদীতে জল বেড়েছে। ভেসেছে বহু এলাকা। এমনই অভিযোগ তুলে ফের একবার ডিভিসিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবমীর দুপুর থেকেই আকাশের মুখ ভার। পূর্বাভাস ছিল ভারী বৃষ্টিপাতের। বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা ছিল দশমীর দিনও। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ডিভিসির নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া শুরু হয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। দুটি বাঁধ থেকে মোট ৬৫ হাজার কিউসেক জল দামোদর নদী হয়ে আসছে। বৃষ্টি হচ্ছে অজয় ও দামোদরের আপার ক্যাচমেন্টে। তাই জল ছাড়ছে বরাকর ও দামোদরের উপর ঝাড়খণ্ডের তিন ড্যাম। ঝাড়খণ্ডের তিলাইয়া, তেনুঘাট ও কোনার ড্যাম জল ছাড়ায় চাপ বাড়ছে মাইথন ও পাঞ্চেতে। অতিরিক্ত জলছাড়ার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের।
মমতা এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “বিজয়া দশমী মানে দুর্গাপুজোর শেষ। আনন্দ, উল্লাস এবং নতুন আশার সময়। শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাবাসীকে উৎসব উদযাপন করতে দেয়নি ডিভিসি। রাজ্যকে নোটিস না দিয়ে ৬৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে তারা। উৎসবের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্দশার পরিস্থিতি তৈরি করা ছাড়া এটা আর কিছু নয়। এই ধরনের আচরণ লজ্জাজনক। কাউকে না জানিয়ে জল ছাড়ার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে ডিভিসি। এটা কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। এটা ডিভিসির দ্বারা তৈরি করা বিপর্যয়। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি বাংলাকে বিসর্জন দিতে দেব না। বাংলাবিরোধী যে কোনও ষড়যন্ত্র সমস্ত শক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াব। অপশক্তির বিরুদ্ধে সত্যের জয় হবেই।”
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে এই মুহূর্তে দক্ষিণ ওড়িশার কাছেই অবস্থান করছে নিম্নচাপ। ক্রমে সেটি আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে