যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ পুজোর আবহেই বাংলায় আরও বিনিয়োগের ভাবনার কথা জানালেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের সূচনা করেছে সংস্থা। দুর্গাপুর বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণেও বড় বিনিয়োগ করার কথা বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে জানিয়েছিলেন জিন্দাল। দশমীর সন্ধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, সেই সব বিনিয়োগের আশ্বাসপূরণ ছাড়াও আরও লগ্নিতে আগ্রহী তিনি।
দশমীতে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন ইস্পাতশিল্পে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান জেএসডত্ত গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দাল ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। স্ত্রীকে পাশে নিয়েই সজ্জন জানিয়ে দেন, মুম্বইয়ের গণপতি উৎসবের থেকেও অনেক বেশি উজ্জ্বল বাংলার দুর্গোৎসব। সুরুচিতে জিন্দালকে মণ্ডপ চত্বর ঘুরিয়ে দেখান রাজ্যের মন্ত্রী তথ্য ক্লাবের শীর্ষকর্তা অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন আর এক শীর্ষ কর্তা অরূপের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসও। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মদানের কথা মাথায় রেখেই এবার সুরুচির থিম ছিল ‘আহুতি’।
সজ্জন জিন্দাল প্রথমেই প্রত্যেককে ‘শুভ বিজয়া’ জানান। মুম্বইতে থাকায় তিনি গণপতি উৎসব ও প্যান্ডেল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এখানে দুর্গাপুজোয় প্রথম এলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা হল। সঙ্গীতা তো এখানকার মানুষ, এখানকার পুজোর সঙ্গে পরিচিত। যেহেতু মুম্বইয়ে থাকি, তাই মুম্বইয়ে গণপতি উৎসব দেখি। কিন্তু বাংলার দুর্গাপুজো অন্য মাত্রার। প্যান্ডেল-প্রতিমা সবটাই আলাদা। এখানে শিল্পীরা যেমন ভাবনায় ফুটিয়ে তোলেন, তা অন্য কোথাও দেখা যায় না। ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেওয়াটা উচিত ছিলই।” সঙ্গীতা বলেন, “শিল্পী ও কিউরেটর বাংলায় যাঁরা রয়েছেন, আর কোথাও নেই। প্যান্ডেলের যে থিমের ভাবনায় অর্থ, অনেক কিছুই শেখায়।”
গত এপ্রিলেই শালবনিতে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি বিদ্যুতের প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু করে জিন্দাল গোষ্ঠী। এই প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই জিন্দালের সঙ্গে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে জিন্দাল বলেছিলেন, রাজ্যের উন্নতিতে দিদি অনেক কাজ করেছেন। বাংলার উন্নতি হলে দেশেরও উন্নতি হবে।”
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে