যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার বিজয়াদশমী। পুজো শেষে মায়ের বিদায়ের পালা। এদিন শহরেরর বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য উপচে পড়ে ভিড়। বাড়ির পুজো থেকে শুরু করে বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা থাকেন সকলেই। সঙ্গে থাকেন হাজার হাজার ভক্ত। কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাই বিসর্জন উপলক্ষে জোরদার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, খিদিরপুরের দহিঘাট, বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, কুমোরটুলি এবং বাজেকদমতলা- শহরের এই পাঁচটি ঘাটকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। ঘাটগুলিতে আলাদা বিসর্জনের দিন থেকে রাত পর্যন্ত টহল দেবে। প্রতিটি ঘাটে ক্রেন, অস্থায়ী আলোকসজ্জা, লাইফবোট, ডুবুরিদল ও বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড় পুজোগুলির পাশাপাশি ছোট বারোয়ারি পুজো বা বাড়ির ঠাকুরের বিসর্জন নিয়েও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেখানে স্থানীয় পুকুর বা জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে, সেখানে নিরাপত্তা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বাড়তি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাই মাস্ট আলো বসানো হয়েছে, যাতে রাতের অন্ধকারে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।
বিসর্জন শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ রুট ম্যাপ তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। মোট ২৩৮টি রুটকে নজরদারি রুট হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা দল থাকবে, সঙ্গে থাকবে মাঝি, লাইফ সেভিং বোট ও ডুবুরি। একই সঙ্গে পুলিশের নজর থাকবে প্রতিমার অলঙ্কার নিয়েও। শহরের ১৩টি বড় মণ্ডপে প্রতিমার গায়ে থাকা সোনার-রুপোর গয়নাগুলি রক্ষার জন্য আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে দু’জন রাইফেলধারী পুলিশকর্মী এবং অন্তত দু’টি সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা হয়েছে। বিজয়াদশমীর শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো বা অতিরিক্ত শব্দদূষণের অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষত ধর্মতলা, শিয়ালদহ, বেলেঘাটা, খিদিরপুর, বালিগঞ্জ এবং হাওড়া সংলগ্ন রাস্তাগুলি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে