যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার সন্ধ্যার পর ২০১৬ সালে বাতিল হওয়া প্যানেলের ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মধ্যরাতে আবার সেই তালিকায় জুড়েছে একাধিক নাম। তালিকায় রয়েছে নৈহাটির মহেন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শম্পা ঘোষের নাম । সম্পর্কে তিনি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ , বড় ছেলে দীপঙ্কর ঘোষেরে স্ত্রী। তালিকায় নাম রয়েছে শাসকদলের আরও বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠদের। সেই তালিকা নিয়ে অবশ্য সংশয় প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতারা। পুত্রবধূ আদৌ ‘দাগি’ শিক্ষক কি না, তা নিয়ে পানিহাটির বিধায়ক সন্দেহের সুরেই জানিয়েছেন, “সত্যিটা কী, তা যেমন আদালতে প্রকাশ্যে আসবে, তেমনই মিথ্যেটাও প্রমাণিত হবে। আইন আইনের পথে চলবে।”
‘দাগি’র তালিকায় নাম রয়েছে চৌহাটি হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা কুহেলি ঘোষের। তিনি আবার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলর । ২০২২ সালে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরুর সময় থেকেই কুহেলিদেবীকে ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়েছিল। তা নিয়ে কাউন্সিলর চ্যালেঞ্জও করেছেন। শনিবার এসএসসি-র তালিকায় তাঁর নাম দেখে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুহেলি বলেন, ” সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম যে কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, তা প্রমাণ করুক। আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ ডাকেনি। যারা দাগি বলে আমাকে চিহ্নিত করেছে, তাদের দায়িত্ব আমার ত্রুটি প্রমাণ করার।”
এদিকে, অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় শম্পা ঘোষের নামপ্রকাশ হওয়ার আবহে প্রকাশ্যে এসেছে অন্য একটি বিষয়। গত ৮ আগস্ট স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে পানিহাটি মহাবিদ্যালয় ফর গার্লস স্কুলে শম্পার সরকারি নমিনি হিসেবে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি হওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে নতুন কমিটিতে আগেকার কমিটির থেকে চার্জ বুঝে নিতে বলা হয়েছে। এনিয়ে সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোমা লোধ জানিয়েছেন, ”ওই চিঠি আমার কাছেও যেমন এসেছে তেমন শিক্ষা দপ্তর, প্রশাসনের সর্বস্তরে ও শম্পা ঘোষের কাছেও গিয়েছে। কবে দায়িত্ব নেবেন জানতে ফোন করলেও উনি ফোন ধরেননি। নিয়ম মেনে সোমবার ওনাকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব কবে গ্রহণ করবেন, জানতে চাইব।” তবে, অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায় শম্পার নাম থাকা প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে