যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েক মাস বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অশোকনগরের প্রিন্স সেন চৌধুরী। কোভিড পরবর্তী সময়ে তাঁর হার্টের রোগ ধরা পড়ে। প্রথমে কলকাতায় চিকিৎসা হলেও পরে আরও ভালো চিকিৎসার জন্য প্রিন্সকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যায় পরিবার। তারপর থেকে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ১৬ বছরের কিশোরকে হার্ট প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু হার্ট প্রতিস্থাপনের আগেই গত ১ আগস্ট মারা যায় প্রিন্স। চিকিৎসার খরচের ২২ লক্ষ টাকার মধ্যে পরিবার ১৫ লক্ষ টাকার বিল মিটিয়েছিল। বকেয়া ছিল ৭ লক্ষ টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করার মতো আর্থিক ক্ষমতা ছিল না পরিবারের। অথচ বকেয়া বিল না মেটালে দেহ ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় বেঙ্গালুরুর সেই নামী হাসপাতাল। শেষে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর হস্তক্ষেপে প্রিন্সের কফিনবন্দি দেহ সোমবার বাড়িতে ফিরল ।
অশোকনগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি প্রিন্সের। এদিন সকালে তাঁর নিথর দেহ বাড়িতে ফিরতেই কান্নার রোল ওঠে। মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে অশোকনগরের বিদ্যাসাগর বাণীভবন হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল প্রিন্স। প্রিয় ছাত্রকে শেষবার দেখতে বাড়িতে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ ও অন্যান্য শিক্ষকরা। প্রিন্সের বাবা প্রশান্ত সেন চৌধুরী বলেন, ‘কোনও রকমে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে পেরেছি। বাকি টাকা দেওয়ার সাধ্য ছিল না। বিধায়ক উদ্যোগ নেওয়ায় ছেলের দেহ পেয়েছি।’ নারায়ণবাবু বলেন, ‘৭ লক্ষ টাকার জন্য ওই নামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ পরিবারকে দিতে চাইছিলেন না। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ছেলেটির দেহ আনা হয়েছে।’
ছবিঃ প্রতীকী