যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়। ফলাফল শেষে দেখা গেল প্রয়াত বাবাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মেয়ে! ৪৯ হাজারের বেশি ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষকে পরাজিত করেছেন কালীগঞ্জের প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ২ হাজার ১৭৯। আশিসের প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৪২৪। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৮ হাজার ২৬২। এ ছাড়াও নোটাতে পড়েছে ২৫০০ ভোট। কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গত ১৯ জুন উপনির্বাচন হয়। জয়ের পর আলিফা বলেন,“মানুষকে ধন্যবাদ। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কালীগঞ্জের মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাতেও এই রাজনীতির কোনও ঠাঁই নেই।” সব ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের ভোট তিনি পেয়েছেন বলে তৃণমূল প্রার্থী।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর। স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে মা-মাটি-মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তা, ‘কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এলাকার সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব জাতি এবং সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আমাদের বিপুলভাবে আশীর্বাদ করেছেন। নতমস্তকে তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই জয়ের প্রধান কারিগর মা-মাটি-মানুষ। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদকে স্মরণ করে আমি এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করছি।’
অন্যদিকে, কালীগঞ্জের মোলান্দিতে এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধীদের অভিযোগ, উপনির্বাচনে জয়ের পর বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকদের ছোড়া সকেটের জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত বারোচাঁদগড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। আমি স্তম্ভিত, অত্যন্ত ব্যথিত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পুলিশ অবশ্যই এ বিষয়ে দ্রুত কড়া আইনি পদক্ষেপ নেবে। দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব কড়া শাস্তি দিতে হবে।’
ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে