সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল ভারত। একটা সময় ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। কমেন্ট্রি বক্সে তখন সুনীল গাভাসকার বারবার বলে চলেছেন অনাবশ্যক ঝুঁকি নিতে গিয়ে ম্যাচটা কঠিন করে তুলছে ভারত। ভারতীয় দলের ক্যাজুয়াল মনোভাবের কথা বলছিলেন তিনি। বাস্তবিকই সলমন আলি আঘাদের সিরিয়াসলি নেননি অভিষেক শর্মারা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনও অঘটন ঘটেনি। টানা তৃতীয় বার পাকিস্তানকে হারাল এবং এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত। তবে ফাইনাল হল ফাইনালের মতোই। শেষ বল পর্যন্ত টান টান উত্তেজনার, রুদ্ধশ্বাস লড়াই। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও ভারতীয় দল দেখিয়ে দিল, তাদের কখনওই হিসাবের বাইরে রাখলে চলে না।
টসে হেরে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান শেষ হয়ে গিয়েছিল ১৪৭ রানে। পাকিস্তান শুরুটা যে ভাবে করেছিল তাতে মনেই হচ্ছিল তাদের অনেক কিছুর জবাব দেওয়ার আছে। পেসার থেকে স্পিনার, প্রথম ৯ ওভারে ভারতের বোলারদের দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ৯ ওভারে বিনা উইকেটে পাকিস্তান ৭৭ রান তুলে ফেলে। সাহাবজাদা ফারহান অর্ধশতরান করে ফিরে যাওয়ার পরেই সাইম আয়ুবের সঙ্গে জুটি বেধে পাকিস্তানকে ভালই টানছিলেন ফখর জামান। আয়ুব ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল পাক ব্যাটিং। ১৩তম ওভারে আউট হন আয়ুব। পরের ওভারে ফেরেন হ্যারিস। তার পরের ওভারে জ়মান। এ ভাবে সাত ওভারে ৩৩ রানের মধ্যে বাকি ৯টি উইকেট হারাল পাকিস্তান। ১১৩/১ থেকে তারা অলআউট হয়ে গেল ১৪৬ রানে। স্পিনারদের চালিয়ে খেলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট দিল পাকিস্তান। ভারতের স্পিনারেরা ১৩ ওভার বল করে ৯৫ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ভারত পাঁচ উইকেট বাকি থাকতে জয়ের রান তুলে নিল। কিন্তু শুরুতে ভারতীয় সমর্থকদের কপালে ভাঁজ ফেলে দেয় ইন্ডিয়ান টপ অর্ডার। অভিষেক শর্মা যে সব ম্যাচে জেতাতে পারবেন না এটা জানা কথা। তাই বলে বাকিরাও ও ভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আউট হবেন, যেখানে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৭! টপ অর্ডার যে ভাবে অকারণ তাড়াহুড়ো করে, সেই রাস্তায় হাঁটেননি তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামমাআর শিবম দুবে। শিক্ষা নিয়েছেন। ধৈর্য ধরেছেন। সঞ্জুর সঙ্গে ৫৭ রানের এবং শিবমের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে ভারতকে জয় এনে দিলেন তিলক। জয়ের রান এল রিঙ্কু সিংহের ব্যাট থেকে, যিনি এ বারের এশিয়া কাপে প্রথম বল খেললেন! তবে চাপের মুখে তিলক বর্মার অর্ধশতরান না এলে এই ম্যাচ বার করতে আরও বেগ পেতে হতো ভারতকে।