যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ একটা সময় জনসংখ্যাই ছিল চীনের অন্যতম বড় সমস্যা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এখন আবার সেই জনসংখ্যাই শি জিনপিং সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করতে নতুন কৌশল নিচ্ছে চীন। শীঘ্রই সন্তান জন্মে ভর্তুকি ঘোষণা করতে পারেন জিনপিং। যে সমস্ত পরিবারে সন্তানের জন্ম হবে, তাদের হাতে হাতে নগদ টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সুত্রের খবর। প্রতি সন্তানের জন্য বছরে ৩৬০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা) দেওয়া হতে পারে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বা তার পর থেকে যাদের জন্ম, তাদের পরিবার এই টাকা পাবে। তিন বছর পর্যন্ত এই টাকা দেওয়া হবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ। যদিও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
দীর্ঘ দিন ধরেই জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যায় ভুগছে চীন। জন্ম কমে আসায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে এসেছে। বেড়েছে বৃদ্ধের সংখ্যা। মিলছে না শ্রমিক, বাড়ছে না উৎপাদন। ধুঁকছে অর্থনীতি । ২০১৬ সাল পর্যন্ত চীনে চালু ছিল এক সন্তান নীতি। অর্থাৎ, একটির বেশি সন্তান গ্রহণ করতে পারতেন না দম্পতিরা। ২০১৬ সালে সেই নিয়ম তুলে নেয় বেজিং। দম্পতিদের বেশি সংখ্যক সন্তানগ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হতে থাকে। তবে তার পর থেকে জন্ম আরও কমেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে চিনে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মানুষের জন্ম হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে প্রায় অর্ধেক, ৯৫ লক্ষ। ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা হারায় চীন। তাদের টপকে জনবহুলের তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে যায় ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে দাবি, এ ভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা নেমে আসবে ১৩০ কোটিতে। আর ২১০০ সালের মধ্যে তা আরও কমে হতে পারে ৮০ কোটি। এই পরিস্থিতির বদল আনতেই সন্তানপ্রতি ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চীন সরকার। ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে