যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: পাঁচ বছর ধরে একাধিক মহিলা সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে বিলেতের আদালত ছ’বছরের কারাদণ্ড দিল বাঙালি চিকিৎসক অমল বসুকে (Amol Basu)। ল্যাঙ্কাস্টারের (Lancashire) বাসিন্দা ওই চিকিৎসক ব্ল্যাকপুল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কার্ডিও ভাস্কুলার সার্জন হিসাবে কর্মরত ছিলেন। গত জুন মাসে অমলকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রেস্টন ক্রাউন কোর্ট। এরপর ছ’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।
দোষী চিকিৎসকের পরিচয় নিয়ে নানা দাবি উঠছে। গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিলেত সফরে অক্সফোর্ডের কেলগ্স কলেজে (Kellogs College) বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই সময় আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কিছু প্রবাসী ভারতীয়। মমতার ভাষণের মধ্যেই হট্টগোল বাধে। প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত অনেকে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছিলেন। অনেকের দাবি, ওই বিক্ষোভের ‘অন্যতম হোতা’ ছিলেন এই অমল বসু। যদিও সে প্রসঙ্গে কোনও প্রামাণ্য ছবি বা ভিডিয়ো ক্লিপ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি। কেলগ্স কলেজ কর্তৃপক্ষ এমনকিছু এখনও জানায়নি।
অমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রথম এক মহিলা সহকর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন ২০২২ সালে। তার পর একে একে আরও অনেকে অভিযোগ জানান। অনেকে গোপন জবানবন্দিও দেন আদালতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পদের জোরে প্রথমদিকে মহিলাকর্মীদের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন অশ্লীল বার্তা পাঠাতেন অমল। মহিলাদের শরীরের গঠন, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকার-আকৃতি নিয়েও কুমন্তব্য করতেন। মেসেজেই শেষ নয়, অমলের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহেরও অভিযোগ এনেছিলেন অনেকে। একাধিক অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, তাঁরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। অনেকে নাকি ওই হাসপাতালের চাকরি ছেড়েও দিয়েছেন। যদিও আদালতে অমলের দাবি, তিনি যেগুলি বলতেন বা করতেন, সেগুলি ‘নিছক মজা’ ছিল।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে