যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: দশমীর সকাল থেকেই মুখ ভার শহর কলকাতা এবং শহরতলির বাসিন্দাদের। এমনিতেই আজ মায়ের বিদায়ের দিনে মন ভারাক্রান্ত। দোসর হয়ে দেখা দিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। আকাশ ঢেকে গিয়েছে কালো মেঘে। সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কলকাতার বেশ কিছু জায়গায়। দুপুর হতেই আকাশ কালো করে মুষলধারে বৃষ্টি নামল গোটা কলকাতায়। আগামী কয়েক ঘণ্টায় কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।
দুর্গাপুজোর আনন্দ যে বৃষ্টি অনেকটা ম্লান করে দিতে পারে সেই আশঙ্কা ছিলই। অষ্টমীর শেষ রাতে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় ঘণ্টা দেড়েক জোরে বৃষ্টি হয়েছিল। নবমীর রাত থেকেই কলকাতা এবং শহরতলির বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। দশমীর সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তার প্রভাবে দশমীতে প্রায় সারা দিনই কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির কমলা সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে ওড়িশার গোপালপুর উপকূল থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুর এবং পারাদ্বীপের মাঝামাঝি কোনও এলাকা দিয়ে এটি ভূ-ভাগে প্রবেশ করতে পারে। তার পরে ওড়িশা এবং সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর এগোতে পারে নিম্নচাপটি। আগামিকাল, অর্থাৎ শুক্রবার, একাদশীর দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে