যুগবার্তা স্পোর্টস ডেস্কঃ ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের প্রথম দিন চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। তার পরেও তাঁকে খেলার বাইরে রাখা গেল না। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের কিছু আগে শার্দূল ঠাকুর আউট হওয়ার পর ভাঙা পায়েই ব্যাট করতে নামলেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক। কয়েক ঘণ্টা আগেও তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু সব সংশয় দূর করে ভাঙা পায়েই খেলতে নামলেন তিনি। শার্দূল আউট হতেই বিস্মিত ক্রিকেটবিশ্ব প্রত্যক্ষ করল, সিঁড়ির রেলিং ধরে নামছেন পন্থ। মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তাঁর পায়ে যন্ত্রণা হচ্ছে। মাঠে ঢোকার আগে মাটিতে হাত দিয়ে প্রণামও করেন পন্থ। ব্যাট করতে নামলেও পন্থ দৌড়তে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল সকলের। সেই সংশয়েরও অবসান হয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে দৌড়তে পারছেন না ঠিকই। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিচ্ছেন। তাঁর লড়াকু মানসিকতায় মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। বৃষ্টি নেমেছে ম্যাঞ্চেস্টারে। ফলে আপাতাত বন্ধ খেলা। ভারতের রান ৬ উইকেটে ৩২১। পন্থ ৩৯ ও ওয়াশিংটন ২০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বুধবার ভারতীয় ইনিংসের ৭৮তম ওভারে ডান পায়ে চোট পান পন্থ। ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকসের একটি ইয়র্কার বলের দিকে না তাকিয়ে সুইপ করতে যান পন্থ। বল ব্যাটে লেগে পন্থের ডান পায়ের গোড়ালির ঠিক নীচে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পন্থ যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। ফিজিও মাঠে চলে আসেন। কিন্তু পন্থের ব্যথা কমেনি। দেখা যায় তাঁর পা ফুলে গিয়েছে এবং বড় ক্ষত তৈরি হয়েছে। দেখা যায় রক্তের দাগও। ডান পা ফেলতেই পারছিলেন না। ক্যাবি অ্যাম্বুল্যান্স করে তাঁকে যখন মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন তিনি। পরে রাতে স্ক্যান রিপোর্ট এলে দেখা যায়, পন্থের পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছে। ছ’সপ্তাহের জন্য পন্থকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইংল্যান্ড সিরিজেই তিনি আর নেই।
পন্থ চোট পাওয়ার পর রবি শাস্ত্রী বলেন, “গাড়ি দুর্ঘটনার মতো অত বড় ধাক্কা কাটিয়েও মাঠে ফিরেছে পন্থ। কিন্তু চোট পেয়ে সাজঘরে ফেরার সময় ওর মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কতটা ব্যথা করছে। আশা করি দ্রুত মাঠে ফিরবে।” তৃতীয় টেস্টেও প্রথম দিন চোট পেয়েছিলেন পন্থ। লর্ডসে কিপিং করার সময় আচমকা একটি বল তাঁর হাতে লাগে। আঙুলে চোট পেয়ে সেই ম্যাচে আর উইকেট কিপিং করতে পারেননি তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন। কিন্তু এবার চোট অনেক বেশি গুরুতর। সেই চোট নিয়েও অকুতোভয় পন্থ নেমে পড়েছেন ব্যাট হাতে। এই মানসিকতাকেই কুর্নিশ করছে বিশ্বক্রিকেট। ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে