যুগবার্তা ওয়েব ডেস্ক: অক্টোবরে পুজোর মরসুমের পরেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে শুরু হবে ভোটার তালিকা সংশোধন (এসআইআর)। বিহারের পরে অন্য রাজ্যগুলিতেও যে এসআইআর (SIR) শুরু হবে, সে বিষয়ে আগেই আভাস দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দিনক্ষণ স্পষ্ট ছিল না। বুধবার সেই সময়টাও পরিস্কার করে দিল কমিশন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর (SIR) হয়েছিল ২০০২ সালে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে সেই তালিকা। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই আবহে দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে যাওয়ার যে উদ্যোগ কমিশন নিয়েছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এস আই আর নিয়ে বারবার নিশানা করেছেন কমিশনকে। আধার কার্ডকে কেন এসআইআর-এর জন্য কমিশন বিবেচনা করছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। বাস্তব পরিস্থিতির কথা বোঝাতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো প্রশ্ন তুলেছিলেন, ৫০ বছর আগে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের জন্মের শংসাপত্র পাওয়া যাবে কী করে? ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে ‘এনআরসি’ হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ১২ নম্বর নথি হিসাবে আধার কার্ডকে (Aadhar Card) বৈধতা দিয়েছে । শীর্ষ আদালত এ-ও উল্লেখ করেছে, আধার কার্ড কখনওই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। শুধু ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে আধার কার্ড। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মঙ্গলবারই স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আধার কার্ডও এখন ‘আইডেন্টিটি’। রাজ্যবাসীকে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘‘যাঁদের আধার কার্ড নেই, তাঁরা করিয়ে নেবেন।’বুধবার জলপাইগুড়ির সরকারি কর্মসূচি থেকে সেই মর্মে প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়ে দিলেন তিনি। মমতা (Mamata) বলেন, ‘‘আমি ডিএম (জেলাশাসক)-কে বলব, যাঁদের আধার কার্ড নেই, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে তাঁদের আধার কার্ডটা করিয়ে দিন।’’ নির্দিষ্ট ভাবে জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে বললেও, এটি আসলে সব জেলার প্রশাসনকেই মমতার ‘বার্তা’ বলে মনে করছেন অনেকে। ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে