যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ নবান্ন অভিযান ঘিরে তুমুল অশান্তি। মিছিলে জখম হয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার মা, এমনটাই অভিযোগ। আজ ৯ আগস্ট শনিবার আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার এক বছর হলে। তারই প্রতিবাদে এ দিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল একাধিক সংগঠন। বেলা ১২টা নাগাদ ধর্মতলা থেকে যে মিছিলটি নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। পার্ক স্ট্রিটে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। অভিযোগ, ধস্তাধস্তির সময় মহিলা পুলিশকর্মীদের লাঠির আঘাতে নির্যাতিতার মায়ের কপালে চোট লাগে। ভেঙেছে তাঁর হাতের শাঁখা। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এরপরই নবান্ন অভিযানে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ তোলে বিজেপি। দলের বিধায়কদের নিয়ে পার্ক স্ট্রিটে অবস্থানে বসেন শুভেন্দু অধিকারী। যতক্ষণ আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার মা চাইবেন, ততক্ষণ এই অবস্থান চলবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
এ দিন মিছিল করে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার পথে পার্ক স্ট্রিটে শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। মিছিল আটকাতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর পরেই পার্ক স্ট্রিটে ফ্লাইওভারের নীচে বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক, নেতা-কর্মী। সেখানে বসেই একের পরে এক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, ধর্মতলা থেকে মিছিল শুরু হওয়ার আগে সেখানে পৌঁছেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘যে গাড়ি করে আসছিলাম, তার নম্বর সব জায়গাতে দেওয়া হয়েছিল। তবু গাড়ি বার বার আটকানো হয়েছে।“
এদিকে, সাঁতরাগাছিতেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগনোর চেষ্টা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। যেহেতু নবান্ন চত্বরে জমায়েত করা সম্ভব নয়, তাই সাঁতরাগাছিকে বিকল্প জায়গা হিসাবে বেছে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, জলের বোতল ছোড়া হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে জুতো দেখান। হাই কোর্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আন্দোলনের নামে এহেন উত্তেজনায় স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে সাধারণ যাতায়াতকারীরা।
ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে