যুগবার্তা বিনোদন ডেস্কঃ এখন ওজন বৃদ্ধি নিয়ে কমবেশি সকলেই সচেতন। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ছেড়েছেন অনেকেই। সঙ্গে রয়েছে ডায়াবেটিসের সমস্যা। একেবারে মিষ্টির স্বাদ এড়িয়ে যাওয়া বাঙালির পক্ষে কার্যত অসম্ভব। কিন্তু চিনিতে আবার ক্যালোরি ইনটেকের ভয়। শারীরিক পরিশ্রমের জন্য শরীরের আবার কিছুটা ক্যালোরিও দরকার। এখানেই বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে গুড়। ক্যালোরি গুড়েও আছে, তবে সেটা প্রাকৃতিক। গুড় ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো নানা ধরনের ভালো উপাদানে ঠাসা। দিনের শুরুতেই খালিপেটে এক গ্লাস গুড়ের জল আপনাকে শারীরিক ভাবে চনমনে করে দেবে।
এছাড়া আর কী উপকার পাওয়া যাবে? গুড়ে উপস্থিত ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদানগুলি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী হলে অস্টিয়োপোরেসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। গুড় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার। ফলে যেকোনও জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে গুড়। শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখতে গুড়ের ভূমিকা অপরিসীম। ঠান্ডার ধাত থাকলে অনেকে সারা বছরই শ্বাসকষ্টে ভোগেন। ফলে ব্রঙ্কাইটিস কিংবা অ্যাস্থামার মতো সমস্যা হয়। গুড় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত গুড় খেলে ফুসফুসে কফও জমা হতে পারে না। সংক্রমণজনিত রোগব্যাধি থেকেও আমাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে গুড়। ছবিঃ প্রতীকী