যুগবার্তা ওয়েব ডেস্কঃ নিজেদের ‘কনটেন্ট’ তৈরির জন্য বাক্স্বাধীনতাকে রক্ষাকবচ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না বলে ইনফ্লুয়েন্সরদের স্পষ্ট বার্তা দিল শীর্ষ আদালত। এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে শুধুমাত্র ক্ষমা চেয়েই যে পার পাওয়া যাবে না, সেটাও আজ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যতটা সীমা লঙ্ঘন করেছেন কোনও কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তার অনুতাপও যেন ততটাই হয়। তার পরেই জরিমানা সংক্রান্ত বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি রণবীর ইলাহাবাদিয়ার একটি অনলাইন অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক হলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তাতে নাম জড়ায় সময় রায়না, বিপুল গয়াল, বলরাজ পরমজিৎ সিংহ ঘাই, সোনালি ঠাকুর এবং নিশান্ত জগদীশ তনওয়ারসহ আরও পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরয়ের। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করার অভিযোগ ওঠে। ওই আচরণের জন্য ইতিমধ্যে শীর্ষ আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন পাঁচ অভিযুক্ত। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই পাঁচজনকে নিজেদের সমাজমাধ্যম চ্যানেল থেকেও সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সমাজে সকলকে নিয়ে চলার জন্য মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সচেতনও করতে হবে তাঁদের। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে আরও নিবিড় করে তুলতে পাঁচ নেটপ্রভাবী কী কী পদক্ষেপ করেছেন, তা-ও হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের মতে, ইনফ্লুয়েন্সররা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কনটেন্ট তৈরি করেন। ফলে কোনও কনটেন্ট ‘বাণিজ্যিক’ (কমার্শিয়াল) বা ‘নিষিদ্ধ’ বক্তব্যের আওতায় পড়লে, সেটির জন্য বাক্স্বাধীনতার অধিকার প্রযোজ্য হবে না। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “একটি কার্যোপযোগী গাইডলাইন স্থির করতে হবে। অন্যথায় উর্বর মস্তিষ্কের তরুণ প্রজন্মকে এই বিধি এড়িয়ে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে না। সীমা অতিক্রম করার ফলে যতটা ক্ষতি হচ্ছে, পরিণামও তেমনই হওয়া উচিত। না হলে তাঁরা ভাববেন, শুধু ক্ষমা চেয়েই পার পাওয়া যাবে।”
ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে