যুগবার্তা বিনোদন ডেস্কঃ সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দিলজিৎ দোসাঞ্জের। তাঁর আসন্ন ছবি ‘সর্দারজি ৩’ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বিতর্ক তুঙ্গে। ছবিতে দিলজিতের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। এই পাক নায়িকাকে নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে পাকিস্তানের শিল্পীরা ভারতে নিষিদ্ধ। পাক শিল্পীদের সমাজমাধ্যমও বন্ধ করা হয়েছে ভারতে। এমনকি, বন্ধ রয়েছে পাক ক্রিকেট লিগের সম্প্রচারও। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক স্থাপনে নারাজ ভারত। সম্প্রতি ভারত-পাক যুদ্ধ সংঘর্ষ বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, জল আর রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না। তারপর বলিউডের বেশ কিছু ছবির পোস্টার থেকে বাদ দেওয়া হয় পাক শিল্পীদের মুখ। ‘সর্দারজি ৩’ থেকে হানিয়াকে বাদ দেওয়ারও দাবি ওঠে। না হলে দেশে মুক্তি দেওয়া যাবে না এই ছবি। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু দিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শুটিং। তাই হানিয়াকে নিয়েই ছবির কাজ শেষ করতে হয় গায়ক-নায়ককে। হানিয়া ছাড়াও নাসির চিনোতি, ড্যানিয়েল খাওয়ার ও সালিম আলবার মতো পাকিস্তানি অভিনেতা রয়েছেন। তবে এই বিতর্ক দূরে সরিয়ে রাখতেই নির্মাতারা ছবির ঝলক ভারতীয়দের জন্য প্রকাশ করেননি। দিলজিৎও সমাজমাধ্যমে জানিয়ে দেন, “২৭ জুন ‘সর্দারজি ৩’ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মহলেই মুক্তি পাচ্ছে।”
এত কিছু সত্ত্বেও সমস্যা মিটল কোথায়? গত কয়েক দিন ধরেই দিলজিতের নিন্দায় সরব ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ় (এফডব্লিউআইসিই)। ভারতের বিনোদন জগৎ থেকে তাঁকে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি বিএন তিওয়ারি। সংগঠনের তরফে এই মর্মে দাবি জানিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি পাঠান হল। পাক অভিনেত্রী হানিয়াকে এই ছবিতে নেওয়া ভারতের সংহতি, সম্মানের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত’ অপমান বলে অভিযোগ তাদের। ফলস্বরূপ দিলজিৎ-সহ ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের পাসপোর্ট বাতিল করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। ছবিঃ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে